প্যারিসে সহ সমস্ত ইউরোপ আমেরিকাতে স্ত্রীর পরকীয়া খুবই ভয়ানক রূপ ধারণ করছে। যা কিনা একটি বাঙালি সমাজের জন্য খুবই কলঙ্কিত এবং অসম্মানজনক। সমাজে কথা পরে আসি, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সংসারের নিষ্পাপ সন্তানগুলো। তারা বড় হয় অনেক দুঃখ কষ্ট মনে নিয়ে।
সত্যি বলতে যে সকল স্ত্রী এই ফ্রান্সে অথবা ইউরোপে নিজের স্বামী রেখে, অন্যের সাথে পরকীয়া করে নিজের সোনার সংসার নষ্ট করে। অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যায় তারা নিজেরাও জানে না আসলে কি করে |
বাস্তবতা অর্থে স্ত্রীরা কখনোই জানেনা একটি স্বামী কতটুকু কষ্ট হারভাঙ্গা পরিশ্রম, অর্থ, সময়, ধৈর্য সকল কিছু মিলে,,, অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তার স্ত্রীকে বৈধভাবে ফ্রান্সে নিয়ে আসে।
একমাত্র যে সকল স্বামীরা তাদের স্ত্রীকে ফ্রান্সে নিয়ে এসেছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের ফ্রান্স এম্বাসিতে দীর্ঘ অপেক্ষা,, ইত্যাদি অজানা সমস্যা আছে।একমাত্র তারাই জানে দুই বছর তিন বছর চার বছর কত কষ্ট করতে হয়েছে |
নিজের কষ্ট দিতে অর্থ, নিজের জন্য ব্যয় না করে, বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে, মানসিক টর্চার, শারীরিক ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে কাজ করেছে। কারণ প্রতিমাসে কাজ না করলে,, সবকিছু শ্রম বৃথা।
এই ফ্রান্সে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত কলঙ্কিত ঘটনা ইতিহাস সাক্ষী,,, অনেক স্বামী প্রতারিত হয়েছে,, হয়েছে নিঃস্ব সর্বহারা।
যে স্ত্রী গুলো তার সোনার সংসার ভেঙে অন্যের হাত ধরে চলে যায়, মনে করে যার কাছে চলে যাচ্ছে সে তাকে অনেক ভালোবাসে,, বাস্তবতা আসলেই সম্পূর্ণ ভুল। যে পুরুষটি আপনাকে ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তার কখনই ক্ষমতা নেই বাংলাদেশ থেকে গর্বের সাথে বিবাহ করে ফ্রান্সে বৈধভাবে তার স্ত্রীকে নিয়ে আসবে।
আজ পর্যন্ত কোন ইতিহাসে নেই, যারা পরকীয়া করে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিন কোন আপু,আমি ফ্রান্সে থাকবো না চলো বাংলাদেশে গিয়ে আমরা বিবাহ করে সংসার করি,, দেখবেন আপুরা ভাবীরা আপনাদের ভালোবাসা কোথায় যায় |
একটি স্বামী তার স্ত্রীকে ফ্রান্সে আনার জন্য যদি কোন নিজ চোখে প্রতিটি মুহূর্ত কষ্টের যন্ত্রণা, অপেক্ষা, অর্থ ব্যয় নিজে চোখে দেখতেন,,, তাহলে কোন স্ত্রী তার স্বামীকে ধোকা দিত না |
শুধু ফ্রান্সে কেন সমস্ত ইউরোপ আমেরিকা,,, প্রত্যেকটি স্বামীর তার স্ত্রীকে বৈধভাবে আনতে অনেক বেগ পৌঁহাতে হয় |
তবে হ্যাঁ কিছু নারীর জন্য সমাজ কলঙ্কিত,, বাঙালি কমিউনিটি লজ্জিত,, স্বাধীনতার নামে সবাই বন্দি।এত কিছুর মাঝেও অনেক আপু ভাবি, তাদের স্বামীর কষ্টের ভাগ অর্ধেক নিজের কাঁধে নিয়েছে, সঙ্গ দিচ্ছে প্রতিটি মুহূর্তে |
স্বামীর ভালবাসার মত খাঁটি ভালোবাসার পৃথিবীতে হয় না,,, পৃথিবীর প্রত্যেকটি ধর্মে প্রত্যেকটি বর্ণের প্রত্যেকটি জাতিতে,, একজন স্বামী তার স্ত্রী এবং তার সন্তান তার পরিবারের জন্য নিজের জীবনের সব সুখ , স্বপ্ন অনেক কিছুই শেষ করে দেয়,,,,
এটাই পুরুষ,, এটাই দায়িত্ব |
শেষ করার আগে এটাই বলব ছবিটি দেখুন,, আপনাকে যে পুরুষটি বলছে,, আপনাকে অনেক ভালোবাসে সম্পূর্ণই ভুল,,, নিজের মন এবং বিবেককে প্রশ্ন করুন,,,? আপনার স্বামী আপনাকে এখানে আনতে কতটুকু পরিশ্রম সে করেছে |
তবে হ্যাঁ অনেক স্বামী নিজের অজান্তে অনেক ভুল করেন, কাজের এখানে ঝামেলা দুশ্চিন্তা, ফ্রান্সে বসবাসরত বিভিন্ন আইন, সার্বিক দোষ চিন্তা নিয়ে নিজের স্ত্রীকে ভালবাসতে ভুলে যান |
তার চাইতেও বড় সমস্যা যেটি আমার ব্যক্তিগত মতামত,, নিজের স্ত্রীকে ছুটির দিনে সময় না দিয়ে,, বিভিন্ন বাংলাদেশীদের সামাজিক কার্যকলাপে নিজের নাম এবং পোস্টার ছাপানো এবং নেতা হওয়ার জন্য ইত্যাদি নেশায় সেখানে সময় ব্যয় করেন,,,
মনে রাখবেন আপনি যদি এখানে আপনার স্ত্রী চোখের পানি ঝরান,, অনেক সুপুরুষ বসে আছে আপনার স্ত্রীর চোখের পানি মুছার জন্য |
আমার কথাগুলো খারাপ লাগলে ক্ষমা চাচ্ছি এটাই বাস্তবতা, এটাই আমাদের সমাজ।
একটি গাড়ির ড্রাইভার খুবই পাকা হতে হয়,, যেকোনো মুহূর্তে ব্রেক অথবা, রাস্তা খারাপ কাটা পড়তে পারে। আপনি সব দিকে খেয়াল রাখবেন মন থেকে,, প্রকৃতি ও আপনার প্রতি সব কিছু খেয়াল রাখবে |
কলমে:আরিফ খান রানারাজ
Be First to Comment