সম্প্রতি ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় কাজ করতে বাংলাদেশে আসেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কক্সবাজারে সিনেমাটির কাজ সম্পন্ন না করেই নিজ দেশে চলে গেছেন টালিউডের এ নায়িকা।
গত ৩০ আগস্ট তাজু কামরুলের পরিচালনায় শুটিং করার জন্য ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। ওই দিন বিকেলেই চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে কক্সবাজার যান তিনি। সেখানে টানা কয়েকদিন শুটিং চলে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার।
এদিকে সায়ন্তিকার কলকাতায় চলে যাওয়া নিয়ে সোশ্যালেসহ নানা মাধ্যমে যখন নানা কথা হচ্ছে, সেই সময় বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বললেন নির্মাতা তাজু কামরুল। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে এ পরিচালক বলেন, শুটিংয়ের সময় একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু সেটি সমাধানও হয়েছে। এরপর আমরা একসঙ্গে কাজও করেছি।
গান দিয়ে সিনেমার শুটিং শুরু হয়। প্রথম গানের শুটিং ভালোভাবেই শেষ হয়। কিন্তু দ্বিতীয় গানের শুটিংয়ের সময় হঠাৎ করেই অভিনেত্রী অভিযোগ করেন, কোরিওগ্রাফার মাইকেল অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্পর্শ করেছেন তাকে। কোরিওগ্রাফারকে পরিবর্তন না করলে কাজ করবেন না তিনি।
‘অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ’ করার কারণে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা চলে গেছেন কি না সায়ন্তিকা—এ প্রশ্ন করা হলে নির্মাতা তাজু কামরুল বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই যে তিনি চলে গেছেন, বিষয়টি এমন না। সায়ন্তিকা যখন ঢাকায় আসেন, ঢাকায় আসার জন্য টিকিট কাটার সময় ফিরতি টিকিটও কেটেছিলেন তিনি। তার ফিরতি টিকিটের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ছিল। সেই সময় অনুযায়ীই চলে গেছেন তিনি।
এ পরিচালক আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নানা কথা বলা হচ্ছে, অনেক লেখালেখি হচ্ছে। অথচ সায়ন্তিকা কিন্তু কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি কোনো কথাও বলেননি।
এছাড়া এ ব্যাপারে জায়েদ খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে বিষয়টি আসলে সে রকম কিছু নয়। গানের কাজ শেষ হয়েছে তাই চলে গেছেন তিনি। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, কিন্তু সেটা ঠিক হয়ে গেছে পরে।
Be First to Comment