সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। দল পিছিয়ে দুই গোলে। কিলিয়ান এমবাপে দুই মিনিটে করলেন দুই গোল। প্রথমটিতেই তরুণ ফরাসি ফরোয়ার্ড গড়ে ফেললেন ইতিহাস।
কাতার আসরের ফাইনালে রোববার লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন এমবাপে। প্রথমটি পেনাল্টি থেকে, পরেরটি সতীর্থের পাসে।
পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করলেন এমবাপে। তবে তার চেয়ে কম বয়সে (২৩ বছর ৩৬৩ দিন) এটি করতে পারেননি আর কেউ। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সের ৪-২ ব্যবধানের জয়ে একটি গোল করেছিলেন তিনি।
একাধিক বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা বাকি চার জন হলেন- ব্রাজিলের ভাভা (১৯৫৮, ১৯৬২), পেলে (১৯৫৮, ১৯৭০), জার্মানির পল ব্রিটনার (১৯৭৪, ১৯৮২) ও ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান (১৯৯৮, ২০০৬)। ২০০২ সালে ব্রাজিলের রোনালদোর পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে জোড়া গোল করলেন এমবাপে।
মাঠে নেমেই রেকর্ড গড়লেন মেসিঃ লুসাইলের আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীতে গলা মেলালেন, এরপর সিমন মার্চিনিয়াকের নেতৃত্বাধীন রেফারি দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রবেশ করলেন মাঠে। শেষবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে।
রেফারির কিক অফ বাঁশি বাজতেই একটি রেকর্ড গড়ে ফেললেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৬ ম্যাচ খেলার কীর্তি এখন আর্জেন্টাইন মহাতারকার। ছাড়িয়ে গেছেন ২৫ ম্যাচ খেলা জার্মানির ’৯০ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউসকে।
আজকের ফাইনালে ফ্রান্সকে নেতৃত্ব দেওয়া উগো লরিসের এটি বিশ্বকাপে ২০তম ম্যাচ। বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে মেসির পর যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগামী সপ্তাহে বয়স ৩৬ পূর্ণ হতে যাওয়া লরিস পরের বিশ্বকাপ না খেললে অন্তত ৮ বছরের জন্য রেকর্ডটা থেকে যাবে মেসিরই।
ম্যাচসংখ্যার পাশাপাশি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় খেলার রেকর্ডও গড়ছেন মেসি। চারটি বিশ্বকাপ খেলার পথে জার্মানির পাওলো মালদিনি মোট ২ হাজার ২১৭ মিনিট খেলেছিলেন।
আজ ফাইনালে নামার আগে মেসি খেলেছেন মোট ২ হাজার ১৯৪ মিনিট। ম্যাচের ২৪ মিনিটেই বেশি সময় মাঠে থাকার রেকর্ড হয়ে গেছে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। এর আগের মিনিটেই বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল পেয়ে গেছেন তিনি।
২০০৬ থেকে শুরু করা মেসির এটি টানা পঞ্চম বিশ্বকাপ। এবারের আসরে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রতিটি মিনিটই তিনি মাঠে ছিলেন। ৫ গোল করে আর ৩ গোল করিয়ে দলকে তুলে এনেছেন শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে।
এই মঞ্চে আর্জেন্টিনাকে তুলে এনেছিলেন ২০১৪ আসরেও। তবে শিরোপা হাতে তোলা হয়নি। সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী জানেন, ম্যাচসংখ্যা বা মিনিটের রেকর্ড যতই হোক, সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ওই সোনালি ট্রফিই।
Be First to Comment